Friday , 26 September 2025
সংবাদ শিরোনাম
You are here: Home » নারী ও শিশু » শিশুর আরামদায়ক পোশাক

শিশুর আরামদায়ক পোশাক

যে শিশুটি সদ্য জন্ম নিয়েছে কিংবা পেরিয়েছে মাস ছয়। বড়দের মতো তারও রয়েছে ব্যক্তিগত সুবিধা-অসুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ। জন্মের পরপর প্রতিটি শিশুই থাকে অত্যন্ত নরম, কোমল এবং সংবেদনশীল। তার পোশাকটিও হতে হবে নরম ও কোমল।

পোশাকের কাপড়, রং, নকশা, জমিন নির্বাচনের কাজটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর মনোবিকাশ, শারীরিক গঠন, ঋতু—এসবই ভাবনায় রাখতে হয়। পোশাকের মূল উদ্দেশ্য দেহের তাপমাত্রার সমন্বয় করা। শীত ও গরম আবহাওয়া থেকে রক্ষা করা।
ধুলাবালি ও জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করতে পোশাক পরানো হয় বলেই ভেবেচিন্তে শিশুর পোশাক বেছে নিতে হয়। শিশুদের পোশাকের ধরন হওয়া উচিত ঢিলেঢালা, স্নিগ্ধ সুন্দর রঙের। প্রতিটি শিশুর সৌন্দর্যপ্রীতি গড়ে ওঠে তার পোশাক ও পরিচ্ছদকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে।কাপড় নির্বাচন

নবজাতকদের পোশাকের ধরন, রং, নকশা নির্ভর করে বছরের কোন ঋতুতে তার জন্ম, সেই স্থানের আবহওয়া, বাসার তাপমাত্রা, পরিবেশ এবং শিশুর দৈহিক অবস্থার ওপর।

  শিশুদের পোশাক ঘন ঘন পাল্টাতে হয়, ধুতে হয়। এ জন্য এমন কাপড় বেছে নেওয়া উচিত, যা সহজে ধোয়া যায় ও শুকানো যায়। সেই সঙ্গে ঘাম ও তাপ যেন শোষণ করতে পারে সেটিও খেয়াল করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সুতি, তাঁতের কাপড়, ভয়েল, লিলেন কাপড়ের পোশাক পরানো যেতে পারে।কেমন নকশা

আরামের সঙ্গে সঙ্গে ঋতুভেদে ফ্যাশনটাও খেয়াল রাখেন অনেক মা-বাবা।

এই বয়সী ছেলে বা মেয়েশিশুদের পোশাকে পার্থক্য না থাকলেও কাটছাঁটে বা নকশায় বেশ পার্থক্য থাকে। শিশুর জামাকাপড় কেনার সময় সেগুলোও খেয়াল রাখতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় শিশুদের পোশাকে ভারী সুতা, জরি, পুঁতি, চুমকির জমকালো কাজ করা, পেছনে বোতাম বা মেটালের হুক থাকে। দেখতে ভালো লাগলেও শিশুর জন্য আরামদায়ক নয়। এগুলো পরানোর ফলে জরি, চুমকি শিশুর গায়ে বিঁধে কেটে যেতে পারে, র্যাশ বা অ্যালার্জি হতে পারে, গরমে কষ্ট হতে পারে। আবার আঁঁটসাঁট এবং ইলাস্টিক দেওয়া পোশাক যেমন আরামদায়ক হয় না, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। শিশুরা যেহেতু বেশির ভাগ সময় শুয়ে থাকে, তাই পেছনে বোতাম হলে শুতে কষ্ট হবে। এ কারণে সহজে পরানো যায়, খোলা যায় এমন সুবিধার সঙ্গে ফিতা বা টিপ বোতাম দেওয়া পোশাক বেছে নিতে হবে, যাতে শিশুর অঙ্গ সঞ্চালনে কোনো রকমের অসুবিধা না হয়। সুতার হালকা কাজ, লেস, ফ্রিল, ব্লক, অ্যাপ্লিক, বাটিকের কাজ করা আরামদায়ক ঢিলেঢালা জামা বেছে নেওয়া যেতে পারে। এতে আরামের সঙ্গে ফ্যাশনও মানা হবে। পোশাক নির্বাচন হয়ে গেলে শিশুকে পরানোর আগে অবশ্যই জামাকাপড়গুলো ধুয়ে নিতে হবে, যাতে শিশু থাকে সব দিক থেকে নিরাপদ।

About bnews24

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top